“Education is not Preparation of life, rather it is living” শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করতে আজকের ছাত্র সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ব আজ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে আমাদেরকেও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য আমাদের যে যাত্রা শুরু হয়েছে তার সফল পরিসমাপ্তিতে আজকের ছাত্র সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বূপূর্ণ ভূমিকা। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজের সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে রয়েছে সততা ও নিষ্ঠার সাথে
দায়িত্ব পালন করার সুস্থ মানসিকতা। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এবং তা সুচারুরপে সম্পন্ন করার জন্য একদল দক্ষ শিক্ষক নিরলস পরিশ্রম করে থাকেন। আমাদের দূষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক এবং আমরা বিশ্বাস করি যে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করা এবং সর্বোত্তম মেধার বিকাশ ঘটানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে শিখাতে চেষ্টা করি যে শৃঙ্খলা বােধ ছাড়া সার্থক কিছুই অর্জন করা যায় না এবং আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার সর্বোচ্চ মান গুলি মেনে চলবে। সহনশীলতা, সহানুভূতি, সম্মান এবং স্বাধীন চিন্তাভাবনার মূল্যবোধ কে লালন করাই যেন। তাদের মূল ধর্ম হয়- এটাই আমাদের কামনা।
কুমিল্লা চাঁদপুর মহাসড়কের বরুড়া-কচুয়া-শাহরাস্তি উপজেলার সঙ্গমস্থল খাজুরিয়া-জগতপুর বাজারের ৩ কি:মি: উত্তরে বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল পয়ালগাছা উত্তর ইউনিয়নের অস্তর্গত ঐতিহ্যবাহী পয়ালগাছা বাজারের সন্নিকটে পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ অবস্থিত।
অত্র এলাকার জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষারআলােয় আলোকিত করতে অর্থমন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ন-সচিব, বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ পয়ালগাছার কৃতি সন্তান মরহুম মোঃ নুরুল হক সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতায় পয়ালগাছা বাজারের সন্নিকটে ৩.৭৮ একর জমিতে ১৯৬৯ সালে স্থাপন করেন পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ। পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কলেজগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম স্থাপিত কলেজ। ১৯৬৯-৭০ শিক্ষা বর্ষে কলেজটি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে কুমিল্লা শিক্ষা বাের্ডের অধিভূক্তি লাভ করে এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্তি লাভ
করে বি. এ বি এস, এস/ বি,কম/বি,এসসি (পাস) কোর্স চালুর মাধ্যমে কলেজটি ডিত্রি কলেজে উন্নীত হয়। ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স-এ পাঠদানের অনুমোদন নিয়ে কলেজটি পােস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে উন্নীত হয়। কলেজের নিজস্ব এবং সরকারী অর্থায়নে বর্তমানে কলেজটি সুসজ্জিত ল্যাবরেটরীসহ তিনতলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন, দ্বিতল বিশিষ্ট কলা ও
বাণিজ্য ভবন, পৃথক একাডেমিক ভবন ও আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ তিনতলা বিশিষ্ট ৪২ সিটের ছাত্রী হােস্টেল এবং ২০১৬ সালে নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট আইসিটি ভবন রয়েছে । কলেজে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র এবং ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থকে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়ে অদ্যাবধি বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয় আসছে।